kh1-logo

মোহাম্মাদ কামাল হোসেনের ভিশন: উন্নত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ঢাকা-৫

মোহাম্মাদ কামাল হোসেন মনে করেন, স্বাধীনতার ৫৪ বছর পরও সাম্য, মানবিক মর্যাদা ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার যে প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি, জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থান সেই অসমাপ্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের একটি নতুন সুযোগ এনে দিয়েছে। ঢাকা-৫ (যাত্রাবাড়ী-ডেমরা) আসন কে তিনি একটি বিশ্বমানের, নিরাপদ, পরিচ্ছন্ন এবং গতিশীল নগরে পরিণত করার স্বপ্ন দেখেন। তিনি সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে সঙ্গে নিয়ে একটি সমৃদ্ধ ঢাকা-৫ গড়তে চান যেখানে সবার জন্য শিক্ষা, কর্মসংস্থান, বাসস্থান ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত হবে। সে লক্ষে আমাদের প্রাণের ঢাকা-৫ (যাত্রাবাড়ী-ডেমরা) নিয়ে উনার ভিশন নিম্নরুপ:

মূল বার্তা: “সবার জন্য শিক্ষা, কর্মসংস্থান, বাসস্থান ও স্বাস্থ্যসেবার উন্নত, নিরাপদ ও সমৃদ্ধ ঢাকা-৫”


১. সবার জন্য দুর্নীতিমুক্ত বৈষম্যহীন সুশাসন

দুর্নীতিমুক্ত প্রশাসন: সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি নির্মূল করে একটি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিমূলক প্রশাসন নিশ্চিত করা।

আধুনিক সরকারি সেবা: সরকারি সেবাগুলোকে আধুনিকীকরণ করা, আধুনিক ডিজিটাল সেবা চালু করে ডিজিটাল পদ্ধতির মাধ্যমে দ্রুত, স্বচ্ছ ও সাশ্রয়ী সরকারি সেবা প্রদান এবং এলাকাভিত্তিক তথ্য ও সেবা কেন্দ্র তৈরি।

আইনের শাসন: আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা এবং একটি নিরপেক্ষ বিচারব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

সংসদ সদস্য হিসেবে সংসদে সঠিক জনপ্রতিনিধিত্ব ও নীতি প্রনয়ণ।

সার্বক্ষণিক গণসংযোগ কার্যালয় স্থাপন, বার্ষিক ‘পাবলিক রিপোর্ট কার্ড’ প্রকাশ এবং ছয় মাস অন্তর ‘টাউন হল মিটিং’ আয়োজন করা।


২. সবার জন্য আধুনিক অবকাঠামো ও নাগরিক সুবিধার সবুজ ঢাকা

যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন: রাস্তাঘাট সংস্কার ও প্রশস্তকরণ, নতুন সড়ক নির্মাণ, এবং প্রয়োজনীয় ব্রিজ-কালভার্ট তৈরি।

যানজট সমস্যার সমাধান: আধুনিক ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা, মেট্রোরেল সংযোগ আনয়ন ও ফ্লাইওভার নির্মাণ এবং গণপরিবহন ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো।

জলাবদ্ধতা নিরসন ও উন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা: জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল পুনরুদ্ধার ও আধুনিক ড্রেনেজ/ পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা নিশ্চিত করা।

বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও দূষণ নিয়ন্ত্রণ: আধুনিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ও পরিবেশ সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সঠিকভাবে কল-কারখানার বর্জ্য নিষ্কাশন, প্লাস্টিক বর্জ্য নিষিদ্ধকরণ, বায়ু ও শব্দ দূষণ রোধ, দূষণ নিয়ন্ত্রণ ও নিরাপদ দুরত্বে আধুনিক বর্জ্য ডাম্পিং স্টেশন স্থাপন করা।

পরিকল্পিত নগরী: পরিবেশবান্ধব আবাসন ব্যবস্থা গড়ে তোলা, যেখানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, খেলার মাঠ, মসজিদ, পার্ক ও কবরস্থানের জন্য পর্যাপ্ত জায়গাসহ প্রয়োজনীয় সকল নাগরিক সুবিধার স্থান থাকবে। শহরজুড়ে বৃক্ষরোপন ও দূষণমুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা।

সহজ মৌলিক সেবা: নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ-পানি সরবরাহ, সুলভ ইন্টারনেট এবং সরকারী ব্যবস্থাপনায় সুলভ আবাসন সুবিধা নিশ্চিত করা।

নারীর জন্য পরিবহন সুবিধার সম্প্রসারণ ও কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

মশক নিধনে কার্যকর পরিকল্পনা ও জনসচেতনতা।


৩. সবার জন্য উন্নত শিক্ষা ও মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা

সবার জন্য উন্নত শিক্ষা: শিক্ষার মানোন্নয়ন করে সবার জন্য উন্নত, নৈতিক ও সুলভে শিক্ষা নিশ্চিত করা, নতুন বিশ্ববিদ্যালয় ও কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসহ মানসম্মত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা এবং শিক্ষা ব্যয় কমানো।

সবার জন্য আধুনিক চিকিৎসা: আধুনিক হাসপাতাল প্রতিষ্ঠা, স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠানসমূহকে আধুনিক ও উন্নতকরণ, পর্যাপ্ত নগর স্বাস্থ্যকেন্দ্র, বিনামূল্যে মাতৃ ও শিশু স্বাস্থ্যসেবা, দরিদ্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জন্য কম খরচে চিকিৎসা সেবা এবং ২৪/৭ জরুরি স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করা।

৪. সবার জন্য কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি

কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দক্ষতা বৃদ্ধি: নতুন কর্মসংস্থান তৈরি, তরুণদের জন্য দক্ষতা উন্নয়ন ও কারিগরি প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা, এবং আত্মকর্মসংস্থানের সুযোগ বৃদ্ধি।

উদ্যোক্তা ও শিল্প সহায়তা: শিক্ষিত বেকার যুবকদের উদ্যোক্তা হিসেবে তৈরি, উদ্যোক্তাদের সহায়তা ও স্টার্টআপ ফান্ড তৈরি, জুটমিলসহ বন্ধ শিল্প-কারখানা পুনরায় চালু এবং নতুন বিনিয়োগ আকর্ষণ।

ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ: চাঁদাবাজিমুক্ত স্বাধীন ব্যবসার পরিবেশ নিশ্চিত করা, ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ সৃষ্টি, স্থানীয় শিল্প ও বাণিজ্যের প্রসার ও বিনিয়োগ উৎসাহিত করণ।

শ্রমিক অধিকার নিশ্চিতকরণ: শ্রম আইন বাস্তবায়নের মাধ্যমে শ্রমিকদের ন্যায্য মজুরি, স্বাস্থ্য ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

পর্যটন ও বিনিয়োগ উন্নয়ন: ঢাকা-৫ আসনভুক্ত এলাকার পর্যটন সম্ভাবনা ও বিনিয়োগের উন্নয়ন।

দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ: দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ও বাজার মনিটরিং জোরদার এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।

নারী উদ্যোক্তাদের জন্য বিশেষ ঋণ ও প্রশিক্ষণ সুবিধা সম্প্রসারণ।


৫. সবার জন্য নিরাপদ ও সুরক্ষিত শহর

সন্ত্রাস ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়া: সন্ত্রাস, মাদক, চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দখল, ছিনতাই, ইভটিজিং, কিশোর গ্যাং ও অন্যান্য অপরাধ প্রতিরোধে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়া এবং এসবের বিরুদ্ধে পুলিশ প্রশাসনের ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি কার্যকর করা।

নিরাপত্তা জোরদার: অপরাধ দমনে সিসিটিভি নজরদারি এবং কমিউনিটি প্যাট্রোল টিমের ব্যবস্থা।

অধিকার ও সম্প্রীতি রক্ষা: মানবাধিকার, নারী-শিশু নিরাপত্তা, বাক ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও ধর্মীয় নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ।

নাগরিক সুরক্ষা: অসহায়, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী, সিনিয়র সিটিজেন, নারী, শিশু, সংখ্যালঘু ও প্রতিবন্ধীদের জন্য বিনামূল্যে বা সুলভ স্বাস্থ্যসেবা এবং বিশেষ ভাতা ও অগ্রাধিকার সেবা চালু করে সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচি সম্প্রসারণ করা।



ভিশন ডাউনলোড করুন